নেত্রকোনায় ভাড়া বাসা থেকে বাবা-ছেলের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় নিহতের স্ত্রী সালমা খাতুনকে (২১) দুই দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।

নেত্রকোনা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার শাকের আহমেদ সোমবার (২২ নভেম্বর) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে রোববার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় নেত্রকোনার জ্যেষ্ঠ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সোহেলের আদালতে রিমান্ড শুনানি হয়। এ সময় আদালত সামলাকে দুই দিনের রিমান্ডের পাঠানোর নির্দেশ দেন।

ওসি শাকের আহমেদ জানান, শুক্রবার বিকেলে নিহত আবদুল কাইয়ুম সরদারের ছোটভাই মোস্তফা আহমেদ বাদী হয়ে মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন। কাইয়ুমের স্ত্রী ছালমাসহ নাম না জানা ব্যক্তিদের মামলায় আসামি করা হয়। পরে ছালমাকে গ্রেপ্তার করা হয়। শুক্রবার সন্ধ্যায় সালমাকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ। রোববার সন্ধ্যায় শুনানি শেষে আদালত তাঁর দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তাঁকে পুলিশি হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

নেত্রকোনা পুলিশ সুপার মো. আকবর আলী মুন্সী বলেন, বিষয়টি খুবই গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। ছেলেকে হত্যার পর কাইয়ুম আত্মহত্যা করেছেন, নাকি এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তিনি আত্মহত্যা করে থাকলে কেন আত্মহত্যা করলেন বা হত্যা হয়ে থাকলে কিভাবে এই হত্যার ঘটনা সংঘটিত হয়, এতে অন্য আরও কেউ জড়িত কি না এসব বিষয় মাথায় রেখে তদন্ত করা হচ্ছে। শিশুটি ও তার বাবার ডিএনএ নমুনা, ভিসেরা নমুনা পরীক্ষার জন্য গবেষণাগারে পাঠানো হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার দুপুরে পৌর শহরের নাগড়া এলাকার পাঁচতলা একটি ভবনের চারতলা থেকে আবদুল কাইয়ুম সরদার ও তাঁর দুই বছরের ছেলের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।